1. iliycharman7951@gmail.com : admin :
প্রধান বিচারপতি হলেন ওবায়দুল হাসান - matamuhuri - মাতামুহুরী
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
WolfWinner Gambling establishment Evaluation সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই–হাইকোর্ট শহীদ দৌলত দিবস জাতীয়ভাবে পালনের দাবী তার সহকর্মীদের চকরিয়ায় টমটম গাড়ি চালক ওমর সানি খুনের মূলপরিকল্পনাকারী রুবেল লামা থেকে গ্রেফতার চকরিয়ায় পুলিশের উপর হামলা গাড়ি ভাঙচুর : আসামি গ্রেফতার আজ ঐতিহাসিক শহীদ দৌলত দিবস চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জাতীয় পার্টির হোসনে আরা আরজু’র মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা চকরিয়ায় চালু হওয়া রেললাইনে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে গরুর মৃত্যু মনোনয়নপত্র বাতিল, ব্যাংক ঋণখেলাপী সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির বিবৃতি  খুটাখালীতে র‌্যাবের অভিযানে সাজাপ্রাপ্তসহ দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রধান বিচারপতি হলেন ওবায়দুল হাসান

মাতামুহুরী ডেস্ক ::
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০৪ পঠিত

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২- এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন।

এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম ডা. আলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশ নেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর প্রদান করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ল’ইয়ারস কনফারেন্সে’ অংশ নেন। তিনি অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল’ কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ৩০ জুন ২০০৯ খ্রি. তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ৬ জুন ২০১১ খ্রি. তারিখে একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

তিনি ২৫ মার্চ ২০১২ খ্রি. তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ খ্রি. তারিখ থেকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উক্ত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব ইত্যাদি।

তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইনবিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনির্ভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY Iliaych