বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রোববার সকালে কক্সবাজারের চকরিয়ায়‘জলবায়ু বান্ধব বৃক্ষরোপন প্রকল্প’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এক আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। চকরিয়া আইসিডিডিআরবি হল মিলনায়তনে বন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্টাতা ড.ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম জোনের জোনাল ম্যানেজার মো.কামরুল হাসানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে এ আলোচন সভা অনুষ্টিত হয়।
অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী। এসময় তিনি বলেন, জলবায়ু বান্ধব বৃক্ষরোপনে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। চকরিয়া উপজেলা একদিকে বন্যা ও অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়প্রবন এলাকা। বৃক্ষরোপনে বন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ নিসন্দেহে চকরিয়া উপজেলার দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরাপত্তা বেস্টনী সুরক্ষিত হবে। ঘটবে সবুজ বিপ্লব।
বন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্টাতা ড.ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষে বন্ধু ফাউন্ডেশনের চলমান প্রকল্পের মধ্যে বন্ধু চুলা, জলবায়ু বান্ধব কৃষি, সুপেয় পানি কার্যক্রম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০২২ সালে বন্ধু ‘জলবায়ু বান্ধব বৃক্ষ রোপন প্রকল্প’ শুরু করেছে। দেশের ৬৪ জেলায় প্রতিটি ইউনিয়নের বসতভিটায় ও ব্যক্তিগত পতিত জমিতে রোপিত বৃক্ষ প্রতি ৪০ টাকা ও ৫ বছর পর ১০ টাকা ১০ বছর পর ১০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্যা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করবেন বন্ধুর কর্মীরা। দেশীয় দীর্ঘমেয়াদী ৫২ জাতের গাছ নির্বাচন করেছে বন্ধু ফাউন্ডেশন। ওই গাছের সর্ব নিন্ম মেয়াদ হবে ১৫ বছর।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক চুট্টু, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক, বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম। সভায় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নার্সারী মালিকসহ বিভিন্নস্থরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।