নির্ভয়ে প্রভাবমুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্নভাবে ভোট দিতে চায় ঈদগাঁও ৫ ইউনিয়নের মানুষ। তাদের দাবী বর্তমানে নির্বাচন বললেই মানুষ নাক ছিটকাই, সেটার জন্য অবশ্যই সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থাই দায়ী। তাই মানুষকে নির্বাচন মুখি, ভোট কেন্দ্র মুখি বা ভোট মুখি করতে চাইলে একমাত্র কাজ হবে প্রভাবমুক্ত পরিবেশে মানুষ ভোট দিবে এবং ভোটের বাস্তব প্রতিফলন পাবে। ২৮ এপ্রিল ঈদগাঁও উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভোটাররা এমন কথা জানান। এদিকে নির্বাচনকে শতভাগ প্রভাবমুক্ত রাখতে কাজ করছে বলে জানান ঈদগাঁওর প্রশাসন।
চলতি মাসের ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহন হতে যাচ্ছে নব গঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ৫ ইউনিয়নের। এর মধ্যে ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বতীর আভাষ পাওয়া গেছে বর্তমান চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম এবং সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরীর মধ্যে তবে অপর চেয়ারম্যান প্রাথী নুরুল হাকিম নুকি ও নিরবে ভাল সমর্থন আদায় করেছে ভোটারদের।
জালালবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বতীর আভাষ পাওয়া গেছে আলমগীর তাজ জনি, ফখরুদ্দীন কাজল ফরাজী, আরমান উদ্দিন, নুরুল আলম এর মধ্যে। এছাড়া ইসলামাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি নুর ছিদ্দিক, মোহাম্মদ নুরুল হক, আবদু রাজ্জাক, স্ইাফুল ইসলাম, আনোয়ার পারভেজ রুবেল বেশ আলোচনায় আছেন।
পোকখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহাম্মদ, আওয়ামীলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ফরিদুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান পুত্র সাইফুদ্দীন ও প্রবাসী জিয়াউল হক বেশ আলোচনায় আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ইসলামপুর ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিক প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন ও সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুল কাদের, আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ ও হাসান আলী বেশ প্রচারনায় এগিয়ে আছেন। তবে মূল লড়াই হবে সাবেক চেয়ারম্যান ও নতুন প্রার্থীর মধ্যে এমন আভাষ দিয়েছেন ভোটাররা।
এদিকে নাপিতখালী বটতলা এলাকার ব্যবসায়ি আবছার উদ্দিন, সিরাজুল হক, আমিনুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বললে তারা জানান, বর্তমানে সাধারণ মানুষের মনে নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ কম। কারন বেশ কয়েকবার মানুষ ভোট দেওয়া নেওয়া নিয়ে কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা আছে, সে জন্য মানুষ নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহী নয়। তাদের দাবী যদি মানুষ নিরাপদে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, তখন মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে ভোটার আগের দিন সব ভোট দিয়ে দেবে, মানুষের সাথে এগুলো নাটক করা হচ্ছে। এরকম অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। তাই সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে মানুষ যাতে প্রভাবমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা।
ঈদগাঁও বাজারে কথা হয়েছিল পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর ভোটার আবদুস সালাম, নবী হোসেন, ফকির মিয়া বলেন, ভোট কেন্দ্রে যাব কিনে সেটা আরো পরে সিদ্বান্ত নেব। কারণ আগে বুঝতে হবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। এখনো অনেক প্রার্থী বলছে আমরা সরকারি দলের প্রার্থী ভোট কিভাবে নিতে হয় জানা আছে। এছাড়া অনেকে কেন্দ্র দখল করার কথা বলছে। তাই প্রাণ দেওয়ার জন্য কে কেন্দ্রে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, বর্তমান সরকারের হাজার হাজার সফলতা আছে কিন্তু নির্বাচন এবং ভোট নিয়ে মানুষ তেমন সন্তোষ্ট না। সেটা পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ নিরাপদে যাকে ইচ্ছা ভোট দিকে ফলাফল নিয়ে কোন কারচুপি হবে না সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এব্যাপারে ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী অফিসার সুবল চাকমা বলেন, ২৮ তারিখের নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ এখানে কোন ব্যক্তি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না। সবকিছু আমরা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করবো। মানুষ নিরাপদে ভোট দিতে পারবে সেটা আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি।
Leave a Reply