ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশী লাভের সমস্ত ব্যবস্থা করে পসরা সাজিয়ে বসেছে কক্সবাজারের নামী দামী বেশ কয়েকটি বিপনী বিতান। তারমধ্যে মেগামার্ট, ছানা, স্টার প্লাস, টপ টেন, ক্যাটস আই সহ অনেক শো রুমে নিজেরা ইচ্ছামত কাপড়ের গায়ে ট্যাগ লাগিয়ে ক্রয় মুল্যের চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশি দাম লিখে দিচ্ছে। মূলত সরকারি বা অন্য কোন সংস্থা কর্তৃক কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্টান না থাকায় ঈদ বাজারকে ঘিরে কিছু ব্যবসায়িরা দীর্ঘদিন ধরে গলাকাটা বানিজ্য করে আসছে, এবারও তার বিপরীত হচ্ছে না বলে জানান খোদ কিছু ব্যবসায়িরা।
তবে এরমধ্যে কিছু দোকানদার অতিরিক্ত দাম নিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে বলে জানান অনেক অভিজ্ঞ ও পুরাতন ব্যবসায়িরা।
১৭ মার্চ ৬ রমজান সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের ঈদ বাজার ঘুরে দেখতে গিয়ে সুপার মার্কেট সংলগ্ন মেগামার্টে গিয়ে দেখা গেছে, এখনো বেশ কয়েকজন ক্রেতা থাকলেও তারা অপেক্ষায় আছে নতুন কাপড় আসার জন্য, তবে দোকানে নতুন কাপড়ের বস্তায় ঠাসা, পরিচিত এক কর্মচারীর সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, কক্সবাজারে সবচেয়ে চালু হচ্ছে মেগামার্ট এখানে প্রতিটি কাপড়ে এখন ট্যাগ লাগানোর কাজ চলছে, প্রতিটি কাপড়ে ক্রয় মূল্যের চেয়ে ৪-৫ গুণ বেশি করে ট্যাগ লাগানো হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিটি প্রসাধনী মূল্যেও ৫/৬ গুণ বেশি লাভ করে বিক্রি করা হয়। আসলে এখানে শহরের ভিআইপি কাস্টামার গুলো আসে। আর আমাদের মালিক জহির আহম্মদ কক্সবাজারের মিডিয়া গুলোর সাথে বেশ হাত করে রেখেছে তাই কোন সমস্যা হয় না।
এসময় খরুলিয়ার প্রবাসী আজিজুল হক জানান,আমি নতুন বিয়ে করেছি স্ত্রীর আবদার রক্ষা করতে মেগামার্টে এসে দেখি একটি ত্রি-পিসের মুল্যে খুব বেশি হলে ২৫০০ টাকা হওয়ার কথা সেটা দাম বলছে ৬৫০০ টাকা। বোনের জন্য একটি ছোট ফ্রগ দেখেছি সেটার দাম বলছে ৪৩০০ টাকা। আমার মতে মেগামার্টে ডাকাতি ছাড়া আর কিছুনা। এখানে অতিরিক্ত দামে সবকিছু বিক্রি হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে মেগামার্টের মালিক জহির আহাম্মদ জানান, এখানে দাম বেশি সেটা ঠিক না। আমরা গ্রাহকদের জন্য সবসময় নিত্যনতুন কালেকশন এনে থাকি।
এদিকে বড় বাজারে ঈদ বাজার ঘুরে দেখতে গিয়ে, নারী ক্রেতা বাংলাবাজার এলাকার আফসানা, পেশকার পাড়ার মনোয়ারা সহ অনেকে জানান, এখনো কেনাকাটা তেমন শুরু হয়নি। তবে কিছু নামী দামী দোকানে গিয়ে দেখেছি তারা অন্যায় ভাবে কাপড়ের দাম ৪/৫ গুণ বেশি বাড়িয়ে বলছে, আবার একদাম বলছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মেগামার্ট, ছানা,স্টার প্লাস,টপ টেন, ক্যাটস আই, রাজস্থান, পাঞ্জাবী হাউজ সহ অনেক প্রতিষ্টান। তারা বলেন,সরকার তরিতরকারির দোকানে অভিযান চালায় কিন্তু ঈদ মার্কেটে যে কিছু কাপড়ের ব্যবসায়ি লুটতারাজ চালায় সেটা কেউ দেখেনা। আমরা কক্সবাজারের প্রশাসনকে অনুরোধ করবো,মেগামার্ট সহ কিছু ডাতাক প্রতিষ্টান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
এব্যাপারে কক্সবাজারের সুপরিচিত ব্যবসায়ি মুফিজুর রহমান,খালেক সহ কয়েক জন পুরাতন ব্যবসায়ি বলেন, ভাই বর্তমানে কেউ কাউকে বলার কিছু নাই। এখন নতুন নতুন অনেক ছেলেরা ব্যবসা করছে,তারা গ্রাহক সন্তুষ্টি বা কম দামে বেশি মাল বিক্রি এই নীতি মানে না। আর মেগামার্ট সহ কয়েকটি প্রতিষ্টানের মালিক সাতকানিয়ার বাসিন্দা। আর সাতকানিয়ার ব্যবসায়িরা এখানো কাউকে মানেনা কোন নীতিমালাও মানেনা বরং তারা কাস্টমারকে মারে। সেটা কেন পারে আপনারা বুঝতে পারেন। তারা বলেন, সরকার চাইলে সব কিছু পারে। যারা এখন ট্যাগ লাগিয়ে কাপড়ের দাম বাড়াচ্ছে তাদের দোকান সরাসরি কয়েকদিন বন্ধ রাখলে সবাই কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: শাহীন ইমরান বলেন, দ্রুত ঈদ বাজারে অতিরিক্ত দাম রাখা বিপনী বিতান গুলোতে অভিযান চালানো হবে।
Leave a Reply